স্বদেশ ডেস্ক
দুদকের আলোচিত উপ-সহকারী পরিচালক শরীফ উদ্দিনের চাকরিচ্যুতির পক্ষে-বিপক্ষে গণমাধ্যমে আসা অভিযোগের নিরপেক্ষ তদন্ত চেয়ে করা রিটের শুনানি শেষ হয়েছে। এ বিষয়ে আদেশের জন্য ১৫ মার্চ দিন ধার্য করেছেন আদালত। গতকাল বৃহস্পতিবার বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন।
এদিন শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক আদালতকে বলেন, শরীফকে হাইকোর্টে তলব করা হোক। সে যদি নির্দোষ হয় বলুক। এর বিরোধিতা করে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, তাকে ডাকা হলে এটি শরীফের চাকরিচ্যুতির বিষয়ে রিট হয়ে যায়। তাকে ডাকা ঠিক হবে না। এর আগে গত সপ্তাহে শুনানির সময় রিটকারী
আইনজীবী শিশির মনিরও এফিডেভিট আকারে শরীফের বক্তব্য দাখিলের নির্দেশনা চান হাইকোর্টের কাছে। সেদিনও খুরশীদ আলম বিরোধিতা করেন।
শুনানিতে অংশ নিয়ে শিশির মনির বলেন, প্রায় ৭শ একর জমি অধিগ্রহণ হচ্ছে কক্সবাজারে। সরকারের এক লাখ হাজার কোটি টাকার মেগা প্রকল্প। এ প্রকল্পের দুর্নীতির তদন্তের দায়িত্বে ছিলেন শরীফ। তিনি স্থানীয় মেয়রসহ অনেক প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে রিপোর্ট দিয়েছেন। দুর্নীতির অভিযোগ যাদের দিকে তারাই তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে। ওই প্রকল্পের জমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত দুর্নীতি বিষয়ে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন তুলে ধরে শিশির মনির বলেন, স্থানীয় প্রশাসন, দালাল, জমির মালিকসহ অনেকেই এখানে অভিযুক্ত। তাদের রক্ষায় একজন সিনিয়র সচিব কাজ করছেন বলেও আদালতে তুলে ধরেন তিনি। শিশির মনির বলেন, শরীফকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে- এতে আমি সংক্ষুব্ধ নই। তবে গণমাধ্যমে যে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ এসেছে সেটার তদন্ত চেয়েছি রিটে। দুদক একটি পাবলিক বডি। এই সংস্থার কোনো কার্যক্রম খতিয়ে দেখার দায়িত্ব আদালতের রয়েছে।
অন্যদিকে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, বিষয়টি শরীফ ও দুদকের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তৃতীয় পক্ষের রিট নিয়ে আসার সুযোগ নেই। এই রিট গ্রহণযোগ্য নয়।
গত ১৬ ফেব্রুয়ারি দুদক কর্মচারী চাকুরি বিধিমালা ২০০৮-এর ৫৪(২) বিধি অনুযায়ী উপসহকারী পরিচালক শরীফকে চাকরি থেকে অপসারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এ চাকরিচ্যুতি নিয়ে অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগের তদন্ত চেয়ে ২৩ ফেব্রুয়ারি রিট করেন শিশির মনিরসহ ১০ আইনজীবী। শরীফ উদ্দিন দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় পটুয়াখালীতে কর্মরত ছিলেন। এর আগে সাড়ে তিন বছর ছিলেন চট্টগ্রামে। সেখানে তিনি বেশ কয়েকটি বড় দুর্নীতির ঘটনা তদন্ত করে আলোচনায় আসেন।